শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতে শত বছর ধরে চলে আসা হিন্দু-মুসলিম সম্প্রতি বিনষ্টকারী, বাবরী মসজিদ ভাঙ্গা পরবর্তী দাঙ্গার খলনায়ক, দিল্লীর নিরীহ নিরস্ত্র মুসলমানদেরকে ব্যাপক গণ-হত্যার হুকুমদাতা, খুনি মোদিকে বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না। মোদী উগ্র হিন্দুত্ববাদ লালন করে, সে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজ, তাই আগামী ১৭ মার্চ বাংলাদেশের অবিসংবাদিত অসম্প্রদায়িক নেতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তাকে শান্তি প্রিয় বাংলাদেশে আসতে দিলে আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক সম্পীতি বিনষ্ট হবে। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে বিশ্বের অন্য যে কোন রাষ্ট্রের শান্তিকামী নেতাকে দাওয়াত দিতে সরকারের প্রতি পরামর্শ দেন। আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাবো।
বক্তারা আরো বলেন, ভারতের দিল্লীতে মুসলমানদের পবিত্র ঘর মসজিদ আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ধন-সম্পদ জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসী মোদির লেলিয়ে দেয়া বাহিনীর হাত থেকে কোলের নিষ্পাপ শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। মোদি বাহিনীর এহেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সারা পৃথিবীর কোটি মুসলমানের অন্তরে আগুনের দাবানল জ্বলছে। এর প্রতিবাদে বিশ্বময় মুসলমানরা আন্দোলনে ফুসে উঠেছে। বক্তারা এই মানবতা বিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দ্রুত বন্ধ ও মোদীকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ওয়াইসি, জাতিসংঘসহ বিশ্ব মানবতাবাদী সংস্থাগুলোর প্রতি জোর দাবী জানান।
শুক্রবার (৬ মার্চ) জুম্মার নামাজের পর হবিগঞ্জের সর্বস্তরের উলামায়ে কেরাম ও তাওহিদী জনতার উদ্যোগে ঐতিহাসিক নূরুল হেরা চত্বর থেকে আল্লামা হাফেজ তাফাজ্জুল হক (রহঃ) এর সুযোগ্য বড় সাহেবজাদা, জামিয়া উমেদনগর ও জামিয়া শারইয়্যাহ মহিলা টাইটেল মাদরাসার মুুুহতামিম, আঞ্জুমানে খুদ্দামুদ্দিনের সভাপতি এবং নুরুল হেরা জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের মুতাওয়াল্লী, হাফেজ মাওলানা মাসরুরুল হক দা.বা. এর নেতৃত্বে স্মরণকালের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী পথসভায় বক্তারা উক্ত এ কথা বলেন।
স্মরণকালের বিশাল মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় নুরুল হেরা চত্বরে এসে পথসভায় মিলিত হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শায়খ মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মুফতী আব্দুল হক (সাবেক চেয়ারম্যান), মুফতী আব্দুল হান্নান চৌধুরী, আলহাজ্ব ফরিদ উল্লাহ, হাফেজ আব্দুর রহমান গবিন্দপুরী, হাফেজ হিফজুর রহমান ছোট বহুলা, মুফতী সিদ্দীকুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আইয়ুব বিন সিদ্দীক, মাওলানা আব্দুল জলিল ইউসূফী, মাওলানা কুতুব উদ্দীন, ছাহেবজাদায়ে হবিগঞ্জী (রহঃ) মাওলানা তাফহিমুল হক, মাওলানা মামনুনুল হক, হাজি নুরুল হক, আলহাজ্ব মুহিব উদ্দীন আহমদ সোহেল, হবিগঞ্জ ব্যকস সভাপতি আলহাজ্ব শামছুল হুদা, মাওলানা আনোয়ার আলী, চৌধুরী বাজার সুন্নী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মজিদ পিরোজপুরী, মাসুদুর রহমান চৌধুরী বেলাল, মাওলানা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী হেলাল, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ডাঃ এম এ করিম আজহার, মাওলানা শিব্বির আহমদ, মাওলানা মশিউর রহমান, মাওলানা মুনতাছির আলম সোহান, মাওলানা জাবের আল হুদা, মাওলানা শেখ বশীর আহমদ, মাওলানা মুহসিন আহমদ, মাওলানা শেখ জয়নাল আবেদীন, মুফতী শাব্বির আহমদ শিবলী, মাওলানা কামরুল হাসান, মাওলানা আব্দুল হক, মাওলানা জাহেদুল আলম ও চৌধুরী মুখলিস প্রমুখ।
মিছিল পরবর্তী পথসভায় হবিগঞ্জ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আল্লামা হাফেজ তাফাজ্জুল হক (রহঃ) এর মৃত্যুতে উক্ত পদটি শূণ্য হওয়ায় উপস্থিত সর্বস্তরের আলেম-উলামা ও তাওহিদী জনতার ঐক্যমতে মরহুমের ছোট ভাই, হবিগঞ্জ দ্বীনি শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, হাফেজ মাওলানা শামছুল হক সাদী (মুসা) কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঘোষণা করা হয়। পরে সংগ্রাম পরিষদের নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাদী সাহেবের মুনাজাতের মাধ্যমে মিছিল-পথসভা সমাপ্ত করা হয়।